অগ্রদৃষ্টি ডেস্ক: ভারতে আটক সিলেটের ব্যবসায়ী রাগীব আলীকে ভূমি জালিয়াতি ও প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়েছে। পরে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক (ভারপ্রাপ্ত) উম্মে সরাবন তহুরা এ আদেশ দেন।
এর আগে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে পুলিশের পিকআপ ভ্যানে করে রাগীব আলীকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে অসুস্থতা ও কোটি টাকার আয়কর দেওয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।
তবে উচ্চ আদালতের রেফারেন্স তুলে ধরে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিবের স্বাক্ষর জালিয়াতি ও তারাপুর চা বাগানের ভূমি আত্মসাত মামলায় রাগীব আলীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। কিন্তু এরপরও আত্মসমর্পন না করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি।
মামলা প্রায় শেষ পর্যায়ে সাক্ষ্যগ্রহণের সময় চলে এসেছে, এ অবস্থায় ভারতের পুলিশ রাগীব আলীকে আটক করে বাংলাদেশে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
আত্মসমর্পন না করে তিনি (রাগীব আলী) পালিয়ে ছিলেন। তাই জামিন দিলে ফের পালাতে পারেন। যে কারণে জামিন নামঞ্জুরের আবেদন জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
শুনানি শেষে বিচারক তিন মামলার একটিতে জামিন মঞ্জুর করলেও দুইটিতে জামিন না দিয়ে রাগীব আলীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মিসবাহ উদ্দিন সিরাজসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী।
আর আসামি পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট মঈনুল ইসলামসহ আরও ১৫ জন।
এর আগে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে বিয়ানীবাজারের সুতারকান্দি সীমান্ত দিয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে রাগীব আলীকে হস্তান্তর করে ভারতীয় পুলিশ।
পাসপোর্ট ও ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে ভারতের করিমগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে গত ১২ নভেম্বর (শনিবার) জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশকালে রাগীর আলীর ছেলে আব্দুল হাইকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
পরে তাকে বিশ্বনাথ থানায় জালিয়াতি ও প্রতারণার দু’টি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্বাক্ষর জালিয়াতির দু’টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরপরই পরিবারের ৫ সদস্যকে নিয়ে গত ১২ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান রাগীব আলী।